About Us 

লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাকাল অর্থ্যাৎ ১৮৯০ সাল থেকেই লাইব্রেরীর পরিচালনার জন্যে একটি গঠণতন্ত্র প্রণীত হয়। সেই গঠণতন্ত্র মোতাবেক লাইব্রেরী একটি নির্বাহী কমিটি প্রতি ৩ বছর অন্তর নিবাচিত হয় এবং এই কমিটি লাইব্রেরী পরিচালনা করে থাকে। ১৮৯০ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত পদাধিকার বলে এই কমিটির প্রধান অর্থ্যাৎ সভাপতি থাকতেন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট। সে মোতাবেক ১৮৯০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বলতে গেলে এই ৫৭ বছরই প্রায় সব কয়জন সভাপতি ছিলেন ইংরেজরা। পরবর্তিতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বাঙালী জেলা প্রশাসকেরা পদাধিকার বলে সভাপতি থাকতেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের তৎকালের সকল সাধারণ, অজীবন ও নির্বাহী সদস্য সম্মিলিত ভাবে ঐত্যমতে গঠণতন্ত্রের কিছু ধারা পরিবর্তন এবং ইংরেজী ভার্সনের গঠণতন্ত্রটি বাংলা ভাষায়পরিবর্তন করে গঠণতন্ত্র নতুনকরে প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত নির্বাচিত একটি নির্বাহী পরিষদ দ্বারা লাইব্রেরী পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে এই পরিষদের সভাপতি মাছরাঙা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক (অবৈতনিক) জনাব আব্দুল মতীন খান।

১৯৯০ সালে লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাকালে জমিদারদের একটি কাচারী ঘর ছিল এই খানে। সেই কাচারীঘরকে কেন্দ্র করেই লাইব্রেরীর গোড়াপত্তন ঘটে। পরবর্তি কয়েক বছরের মধ্যে এরই সাথে বড় একটি কক্ষ বিশিষ্ট দোতালা একটি ভবন নির্মান করে উপর নিচু ঘর ব্যবহার করে লাইব্রেরী চলতে থাকে। এর আরো কয়েক বছর পর নিচতলায় আরেকটি ২০ফিট X ৩০ফিট হল ঘর নির্মাণ করে লাইব্রেরী দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। প্রায় সব কটি ঘরই শতাধিক বছরের হওয়াতে ফাটল ধরা, পলেস্টার খুলে পড়া, পানি ঝরা শুরু হলে মূল্যবান বই-পুস্তকগুলি নষ্ট হতে থাকে। তৎকালের লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৯৯৮ সালে বর্তমান সভাপতি মাছরাঙা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও লাইব্রেরীর আজীবন সদস্য অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু লাইব্রেরীকে বাঁচাতে হাত এগিয়ে দেন। তাঁর বাবা স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর বদান্যতায় এবং কৃপায় লাইব্রেরীকে বর্তমান অবস্থায় ৬তলা বিশিষ্ট ভীতের উপর ৪ তলার ৩ হাজার ৫শ’ বর্গফুটের একটি বিশাল আকারের ভবন নির্মান করে দেন বিনা পয়সায়। বর্তমান এই ভবন এবং লাইব্রেরী দেশের বেসরকারী লাইব্রেরী সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং বৃহত্তম লাইব্রেরীতে পরিনত হয়েছে।

এখানে সপ্তাহের ৬ দিনের প্রতিদিনই সকাল ১০-০০টা থেকে রাত ৮-০০টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে শতশত সংবাদপত্র পাঠক, শিক্ষার্থী, অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সব পেশার পাঠকেরা পড়াশোনা করে এবং বিভিন্ন গবেষকেরা গবেষণা কার্যক্রমও চালায়।

 

লাইব্রেরীর পাঠকদের ধরনঃ 

১। সাধারণ শ্রেণির পাঠক
২। শিশু -কিশোর পাঠক
৩। শিক্ষার্থী পাঠক
৪। পেশাজীবী পাঠক
৫। গবেষক শ্রেণীর পাঠক
৬। চাকুরী হতে অবসর গ্রহণকৃত পাঠক
৭। সংবাদ পত্র / ম্যাগাজিন পাঠক
৮। ভ্রাম্যমান পাঠক ইত্যাদি
৯। শিক্ষিত বেকার পাঠক

লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে পাঠকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা ।